এই আয়াতটি পরজগতে পুনরুত্থান সম্বন্ধে বিবৃত হইয়াছে বলিয়া মনে হয়। কিন্তু যখন কোন ধর্ম-সংস্কারক (নবী-রসূল) আগমন করেন, তাঁহার অব্যবহিত পূর্বক্ষণে মানুষের আধ্যত্মিক শোচনীয় ও হীনাবস্থার প্রতিও এই আয়াত আরোপিত হইতে পারে। সেই অর্থে, নবীর বা সংস্কারকের আবির্ভাবকে শিঙ্গা বাজানোর সাথে উপমা দেওয়া হইয়াছে। এই উপমার প্রেক্ষিতে ‘মূর্ছিত হইয়া পড়িবে’ কথার অর্থ এই দাঁড়াইবে যে, ধর্ম-সংস্কারকের আবির্ভাবের প্রাক্কালে মানুষের আধ্যাত্মিক অবস্থায় নিদ্রা, স্থবিরতা ও বন্ধ্যাত্ব বিরাজমান থাকে এবং ‘দেখ! সহসা তাহারা দণ্ডায়মান হইয়া অপেক্ষমান হইবে’ কথাগুলির অর্থ এই হইবে যে, সংস্কারকের আগমনের পর মানুষ জাগিয়া উঠিবে এবং সংস্কারকের প্রদর্শিত পথ সঠিক বলিয়া মানিবে ও অনুসরণ করিবে।