ইসলামের শত্রুরা এই অপবাদ দেয় যে, ইসলামে নারীর মর্যাদা পুরুষের মর্যাদা হইতে কম। এই আয়াত এরূপ অপবাদকে কার্যকরীভাবে রদ করিতেছে। কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী নারীরা পুরুষের মতই সমমর্যাদাশীল। পুরুষেরা যে সব আধ্যাত্মিক মর্যাদা লাভ করিতে পারে, স্ত্রীলোকেরা সেই সকল মর্যাদায় উন্নীত হইতে পারে। পুরুষ মানুষ যে সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করিতে পারে, স্ত্রীলোকেরাও সমভাবে সেই অধিকারসমূহ ভোগ করিতে পারে। তবে তাহাদের কর্মক্ষেত্রের ব্যাপারে ব্যবধান আছে বলিয়াই তাহাদের কর্তব্যেও বিভিন্নতা আছে। কর্তব্য, দায়িত্ব ও কর্মক্ষেত্রের বিভিন্নতার কারণে, ভুলক্রমে কিংবা ইচ্ছা করিয়াই, ইসলামের শত্রু ভাবাপন্ন সমালোচকরা মনে করেন ইসলাম স্ত্রীলোককে পুরুষের সমান মর্যাদা দেয় না। মনে রাখা উচিত, কার্যক্ষেত্র ও দায়িত্বাবলীর বিভিন্নতাকে মর্যাদার বিভিন্নতা মনে করা ঠিক নয়।