২৩৩৩

মহানবী (সাঃ)-এর আধ্যাত্মিক-পিতৃত্বে যে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব স্থাপিত হইল, ইহাতে কেহ কেহ এরূপ ভুল ধারণার বশবর্তী হইতে পারিত যে, মুসলমানগণ পরস্পরের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইবে। এই আয়াতে ঐ ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন করা হইল এবং বলা হইল যে, কেবল রক্ত-সম্পর্কে সম্পর্কযুক্তরাই পরস্পরের সম্পদের উত্তরাধিকারী হইতে পারিবে। তবে কাফেরগণ মো’মেন আত্মীয়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকার পাইবে না। এই আয়াত দ্বারা স্থাপিত উত্তরাধিকারের আইন, মক্কার মুহাজির ও মদীনার আনসারদের মধ্যে অস্থায়ীভাবে প্রবর্তিত উত্তরাধিকারমূলক ভ্রাতৃত্ববাদেরও অবসান ঘটাইল, যাহার আওতায় মক্কা হইতে আগত মুহাজিরগণ মদীনাবাসী আনসারবৃন্দের সাথে এমনি প্রগাঢ় ভ্রাতৃত্ব-বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছিলেন যে, মুহাজিরগণ স্বীয় আনসার ভাইদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার পর্যন্ত লাভ করিয়াছিলেন। এখন স্থায়ী আইন দ্বারা ঐ অস্থায়ী ব্যবস্থারও অবসান হইল। কেবল মাত্র রক্ত-সম্পর্কেই উত্তরাধিকারের মূল ভিত্তি গণ্য হইল। তাহা সত্ত্বেও, ইসলামের মহত্তর ও বৃহত্তর ভ্রাতৃত্বে কোন ভাঁটা পড়ে নাই। এক মুসলমান অপর মুসলমানকে ভাইয়ের মতই সমাদর করে।