বিশ্ব-জগতের সৃষ্টি-পরিকল্পনার মধ্যে যে পরিপূর্ণতা ও পরিপক্কতা দৃষ্ট হয় এবং ইহার রন্ধ্রে রন্ধ্রে, পরিচালনার যে অনবদ্য শৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হয়, তাহা যদি বুদ্ধিমত্তা ও মননশীলতার সহিত অনুধাবন করা যায় তাহা হইলে যে কোন ব্যক্তি অবশ্যম্ভাবীরূপে এই অনিবার্য সিদ্ধান্তে উপনীত হইবে যে, এই বিশ্ব-জগতের নিশ্চয়ই একজন সৃষ্টি-কর্তা রহিয়াছেন। বাচন-ভঙ্গি ‘লাইয়াকূলুন্না’র তাৎপর্য ইহাই যে, অবিশ্বাসীগণের একথা স্বীকার করা ছাড়া কোন গত্যান্তর নাই যে, আল্লাহ্তা’লাই এই বিশ্ব-জগতকে অস্তিত্ব দান করিয়াছেন।