কোন কোন পণ্ডিত ব্যক্তির মতে এই আয়াত নাযেল হইয়াছিল যখন নবী করীম (সাঃ) মক্কা হইতে মদীনা যাওয়ার পথে ছিলেন। ইহাতে এক মহান ভবিষ্যদ্বাণী নিহিত ছিল যে একদিন তাঁহাকে মক্কা ছাড়িয়া যাইতে হইবে এবং তৎপর পরিণামস্বরূপ তিনি বিজয়ীর বেশে ইহাতে প্রত্যাবর্তন করিবেন। আয়াতটি এই সূরার উপযুক্ত পরিশিষ্ট উপস্থাপন করিয়াছে। উক্ত সূরা আঁ-হযরত (সাঃ)-এর সদৃশ মূসা (আঃ)-এর জীবনেতিহাসের কিছুটা বৃত্তান্ত দিয়াছে। মূসা (আঃ) মিশর হইতে হিজরত করিয়াছিলেন এবং মিদিয়ানে দশ বৎসর বসবাস করিয়াছিলেন—ঐবৎসরগুলি ছিল তাঁহার সম্মুখে অপেক্ষমান মহান কর্মের জন্য প্রস্তুতিপর্ব। তৎপর তিনি ঐশী বাণী নিয়া মিশর ফিরিয়া গেলেন এবং ফেরাউনের দাসত্ব বন্ধন হইতে ইসরাঈলীদিগকে মুক্ত করিতে কৃতকার্য হইলেন। অনুরূপভাবে নবী করীম (সাঃ) মক্কা হইতে হিজরত করিয়াছিলেন এবং তাঁহার জীবনের অতি মূল্যবান দশটি বছর মদীনায় অতিবাহিত করিয়াছিলেন। সে সময়কাল ছিল, তাঁহার বিশ্বাসের কেন্দ্র এবং আশ্রয়স্থল মক্কার বিজয়ের মহান লক্ষ্যে প্রস্তুতির সময়। তিনি বিজয়ীর বেশে মক্কায় ফিরিয়া গেলেন এবং তাঁহার জীবনের ব্রত সম্পূর্ণভাবে সফল হইল।