‘রিয্ক’— আল্লাহ্তা’লা মানুষকে যাহা কিছু দান করিয়াছেন বা দান করেন, তাহা বস্তুই হউক বা অন্য কিছুই হউক, তাহাই ‘রিয্ক’ (মুফরাদাত)। মানুষের আধ্যাত্মিক কল্যাণের তিনটি দিক-নির্দেশনা ও তিনটি অবস্থা এই আয়াতে ব্যক্ত হইয়াছে। যথাঃ (১) তাহাকে ঐ সকল সত্য তত্ত্বের উপর বিশ্বাস স্থাপন করিতে হইবে, যাহা সে চোখে দেখিতে পায় না এবং তাহার ইন্দ্রিয়সমূহেও ধরা পড়ে না। কারণ, এইরূপ বিশ্বাস প্রমাণ করে যে, তাহার মধ্যে তাক্ওয়া বা ধর্মপরায়ণতা রহিয়াছে, (২) যখন সে এই মহাবিশ্বের দিকে তাকাইয়া চিন্তা করে এবং দেখিতে পায় যে, ইহাতে এক আশ্চর্যজনক সুপরিকল্পিত শৃঙ্খলা বিরাজমান আছে, তখন সে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, ইহার একজন স্রষ্টা আছে, তখন সেই স্রষ্টার সহিত সত্যিকার সম্বন্ধ স্থাপনের প্রবল ও অপ্রতিরোধ্য বাসনা তাহার মনকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে। এই বাসনাই তাহাকে ইবাদতে বা উপাসনায় প্রণত করিয়া দেয়, (৩) অবশেষে, যখন বিশ্বাসী ব্যক্তি তাহার সৃষ্টিকর্তার সাথে জীবন্ত সম্পর্ক স্থাপনে কৃতকার্য হয়, তখন সে নিজের মধ্যে মানব-সেবার এক বিশেষ অনুপ্রেরণা অনুভব করে।