এই বিংশ শতাব্দীতে পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি কর্তৃক ‘ডিভাইড এণ্ড রুল’ (বিভাজন এবং শাসন কর) নীতি যেরূপ মারাত্মক পরিণতির সঙ্গে অনুসৃত হইয়াছে সেরূপ ফেরাউনও অনুরূপ নীতি সফলতার সঙ্গে অনুসরণ করিয়াছিল বলিয়া প্রতিপন্ন হয়। ফেরাউন মিশরবাসীদিগকে দলে-উপদলে বিভক্ত করিয়াছিল এবং পরস্পরের মধ্যে বিবাদ বিসম্বাদ সৃষ্টি করিয়া দিয়াছিল। তাহাদের কাহাকেও সে সুবিধা দিত এবং অন্যান্যকে শোষণ করিত এবং দাবাইয়া রাখিত। হযরত মূসা (আঃ)-এর জাতি ছিল শেষোক্ত দুর্ভাগা শ্রেণীর। তাহাদের পুত্র সন্তানগুলিকে নৃশংসভাবে হত্যা করিত এবং তাহাদের নারীদিগকে জীবিত রাখত উক্তি হইতে বুঝা যায় যে, ফেরাউন বাহ্যিকভাবে ইসরাঈলীদিগকে স্থায়ীভাবে বশে রাখার উদ্দেশ্যে তাহাদের পুত্র সন্তান ও পুরুষদিগকে নৃশংস ভাবে হত্যা করিত এবং নারীদিগকে জীবিত রাখিত। এই অর্থ বহন করা ছাড়াও, ইহার মর্মার্থ এইরূপও হইতে পারে যে, তাহার এই শোষণ এবং নিষ্ঠুর দমন নীতি দ্বারা ফেরাউন তাহাদের পুরুষোচিত গুণাবলী ধ্বংস করিয়া দিতে চাহিয়াছিল এবং তাহাদিগকে নারী জাতির মত দুর্বল করিয়া দিতে চাহিয়াছিল।