প্রাচ্য-ভাষাবিদ কোন কোন খৃষ্টান পণ্ডিত তাহাদের চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী কুরআনে ‘বিসমিল্লাহ্’ বাক্য পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থ হইতে ধার করা হইয়াছে বলিয়া প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টায় কুরআন করীমের ঐশী ভিত্তির সত্যতা অস্বীকার করার ব্যর্থ প্রয়াস পাইয়াছেন। হোয়েরি তাহার ‘কমেন্টারী’ পুস্তকে লিখিয়াছেন যে, ইহা যেন্দা-আভেস্তা কেতাব হইতে ধার করা হইয়াছে। সেল সাহেব অনুরূপ মত ব্যক্ত করিয়াছেন, যদিও রডওয়েলের মতে ইসলাম-পূর্ব আরবরা ইহুদীগণের নিকট হইতে ইহা অনুকরণ করিয়াছিল এবং পরবর্তীকালে ইহা আঁ-হযরত (সাঃ) কর্তৃক কুরআনে সন্নিবিষ্ট হইয়াছিল। যদি ধরিয়াও লওয়া হয় যে, পূর্ববতী ধর্মগ্রন্থসমূহে যেহেতু এইরূপ অভিব্যক্তি দৃষ্টিগোচর হয়, এই জন্য উহাদের মধ্য হইতে কোন একটির কুরআন অনুকরণ করিয়াছে (অথচ এই ধারণা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন), তথাপি ইহা কোন আপত্তির কারণ হইতে পারে না, বরং এতদ্বারা ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, কুরআন সেই উৎস হইতেই উৎসারিত হইয়াছে যে উৎস হইতে অপরাপর সকল ধর্মীয় গ্রন্থ উৎসারিত হইয়াছে। অধিকন্তু কোন ধর্ম-গ্রন্থই ইহাকে এমন গুণাবলী ও পদ্ধতিতে ব্যবহার করে নাই যেমন করিয়া কুরআন করিয়াছে। পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে প্রাক-ইসলাম যুগের আরবরা ইহা কখনও ব্যবহার করে নাই। বরং আল্লাহ্তা’লার সীফ্ত ‘আর রহমান’ (২৫ঃ৬১) যাহা বিসমিল্লাহ্র অবিচ্ছেদ্য অংশ উহার ব্যবহারে তাহারা বিশেষ বিরোধী ছিল। আরও দেখুন ১ঃ১ আয়াত।