কুরআন মজীদের আয়াতসমূহ যে ফিরিশ্তা বহন করিয়াছিলেন তাঁহাকে এই আয়াতে ‘রূহুল আমীন’ অর্থ পরম বিশ্বস্ত আত্মারূপে আখ্যায়িত করা হইয়াছে। অন্যত্র তাঁহাকে ‘রূহুল কুদুস’ অর্থ পবিত্র আত্মা বলা হইয়াছে (১৬ঃ১০৩)। পরবর্তী বিশেষণ বা গুণবাচক উক্তির দ্বারা কুরআন প্রত্যেক ভুল-ত্রুটি হইতে পূর্ণভাবে মুক্ত বলিয়া ব্যক্ত হইয়াছে। পূর্ববর্তী বিশেষণ রূহুল আমীন-এর ব্যবহার করিয়া ইহাই ইঙ্গিত করে যে, ইহার পাঠ্যসূচী ও মযমূন সর্বপ্রকার অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐশী আশ্রয়ে অবিকৃতভাবে সংরক্ষিত থাকিবে। এই গুণবাচক উক্তি একমাত্র কুরআনের বাণী সম্বন্ধেই ব্যবহৃত হইয়াছে, কেননা অন্যান্য ঐশী গ্রন্থ সম্পর্কে চিরস্থায়ী ঐশী সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় নাই এবং সময়ের ব্যবধানে উহাদের পাঠ্যাংশ মানুষের অবৈধ হস্তক্ষেপে কলুষিত। অতীব আশ্চর্যের বিষয় এই যে, হযরত নবী করীম (সাঃ) নিজেই মক্কায় ‘আল্-আমীন’ অর্থাৎ বিশ্বস্তরীপে পরিচিত ছিলেন। ইহা কুরআনের নির্ভরযোগ্যতা সম্বন্ধে কী মহান এবং সপ্রশংস সমর্থনসূচক ঐশী উপহারবাণী! কী পবিত্র ঐশী সাক্ষ্য যে, কুরআনের ওহী এক ‘আমীন’ কর্তৃক আর এক ‘আমীন’-এর নিকট আনা হইয়াছিল!