এই আয়াতের অভিপ্রায় এইরূপ যে, কুরআনের নুযুল (অবতীর্ণ হওয়া) নূতন কোন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ব্যাপার নহে। উপরে বর্ণিত নবীগণের নিকট প্রেরিত ঐশী-বাণীর মত কুরআনের বাণীসমূহও আল্লাহ্তা’লারই প্রত্যাদেশ। কিন্তু পার্থক্য কেবল এই যে, পূর্ববর্তী নবীগণ স্ব স্ব জাতির জন্য প্রত্যাদিষ্ট হইয়াছিলেন, কিন্তু কুরআন করীম পৃথিবীর সমগ্র জাতির জন্য নাযেল হইয়াছে; কারণ ইহা ‘সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে নাযেল হইয়াছে’ বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে।