২১২৮

বর্তমান এবং পরবর্তী কয়েকটি আয়াত সামূদ জাতির প্রসঙ্গ বর্ণনা করিয়াছে। ‘ফুতুহাশ্‌-শাম্‌’-এর বর্ণনানুযায়ী তাহারা খুবই শক্তিশালী জাতি ছিল। তাহাদের শাসন এবং রাজ্য সিরিয়ার বস্‌রা শহর হইতে এডেন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কৃষি এবং স্থাপত্য-শিল্পে তাহারা অত্যন্ত উন্নতি সাধন করিয়াছিল এবং তাহারা খুবই উচ্চ স্তরের সুসভ্য জাতি ছিল। গ্রীক ঐতিহাসিকগণ এই উপজাতির সম্বন্ধে উল্লেখ করিয়াছে। খৃষ্টীয় শতাব্দীর কিছু পূর্বে তাহারা তাহাদের সময় গণনা করে। তাহাদের বাসস্থানের নাম তাহারা হিজরা বা আগ্রা বলে। আল্‌ হিজর, যাহা ‘মাদায়েনে সালেহ্‌’ (সালেহ্‌র শহরগুলি) নামে পরিচিত ছিল এবং সম্ভবতঃ এই সকল জনগোষ্ঠীর রাজধানী মদীনা ও তাবুকের মধ্যে অবস্থিত ছিল এবং যে উপত্যকার মধ্যে ইহা অবস্থিত ছিল উহাকে ‘ওয়াদী কোরা’ বলা হয়। কুরআন করীম ঐ সকল উপজাতিসমূহকে আদ জাতির অব্যবহিত উত্তর-পুরুষরূপে উল্লেখ করিয়াছে (৭ঃ৭৫)। ইহা উল্লেখযোগ্য যে, হযরত নূহ, হযরত হূদ এবং হযরত সালেহ (আঃ)-এর বিবরণ কুরআনের কতিপয় স্থানে দেওয়া হইয়াছে এবং প্রত্যেক স্থানেই একই বর্ণনাক্রম রক্ষিত হইয়াছে, অর্থাৎ হযরত নূহ (আঃ)-এর বিবরণ হযরত সালেহ্ (আঃ)-এর বিবরণের পূর্বে আসিয়াছে এবং ইহাই সঠিক কালক্রম-ভিত্তিক বিন্যাস। ইহাতেই প্রতিপন্ন হয় যে, ইতিহাসের ঘটনাবলী যাহা অতীতে বিস্মৃতির কোলে বিলীন এবং অস্পষ্টতায় নিমজ্জিত উহাকে কুরআন করীম নির্ভুলভাবে ঐতিহাসিক ক্রমপর্যায়ে প্রকাশ করিয়াছে। আরো টীকা ১৩২৬ দেখুন।