২১২৬

এই আয়াত এবং ইহার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আয়াত প্রমাণ করে যে, আদ জাতির লোকেরা এক শক্তিশালী এবং সভ্য জনগোষ্ঠী ছিল। সেই যুগে তাহারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রভূত অগ্রগতি সাধন করিয়াছিল। তাহারা দুর্গ ও প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা এবং বিরাট জলাধার নিমার্ণ করিত। তাহাদের গ্রীষ্ম ও শীতকালীন পৃথক পৃথক বাস ভবন ছিল, কারখানা ছিল এবং যান্ত্রিক পারদর্শিতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড ছিল। তাহারা বিশেষভাবে স্থাপত্যে উন্নত ও সুদক্ষ ছিল। তাহারা নূতন সমরাস্ত্র ও যুদ্ধের সামগ্রী উদ্ভাবন করিয়াছিল এবং বিরাট সৌধসমূহ নির্মাণ করিত। সংক্ষেপে তাহারা বর্তমানের পশ্চিমা জাতিসমূহের মত এক অতি উন্নতমানের সভ্যতার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল যন্ত্রপাতির অধিকারী ছিল। জ্ঞানে তাহারা দ্রুত উন্নতি লাভ করিয়াছিল, কিন্তু ইতিহাসের চরম শিক্ষা ভুলিয়া বিস্মৃতির কোলে সমর্পিত হইয়াছিল। কেননা জাতিসমূহ তাহাদের প্রকৃত শক্তি, পার্থিব বিষয়-বস্তু হইতে আহরণ করিতে পারে না, বরং উচ্চ আদর্শ এবং সৎ নৈতিকতা হইতে আহরণ করিয়া থাকে। যেহেতু তাহারা নৈতিকভাবে দুশ্চরিত্র এবং আধ্যাত্মিকভাবে কলুষিত হইয়া পড়িয়াছিল এবং নিজদিগকে সংশোধন করণার্থে যুগ-নবীর সতর্ক বাণীর প্রতি কর্ণপাত না করায় তাহারা সেই ভয়াবহ নিয়তির শিকারে পরিণত হইয়াছিল, যাহা ঐশী সতর্কবাণী উপেক্ষাকারীর অনিবার্য পরিণতি হইয়া থাকে। আরো দেখুন ১৩২৩ টীকা।