‘আল্-কুরআন’ শব্দটি ‘কারাআ’ হইতে উৎপন্ন। ‘কারাআ’ অর্থ সে পাঠ করিয়াছিল, সে বাণী পৌঁছাইয়াছিল, সে সংগ্রহ করিয়াছিল। ‘কুরআন’ অর্থ (১) পঠনের উপযোগী পুস্তক, যাহা বার বার পাঠ করা যায়; কুরআন বিশ্বের সর্বাধিক পঠনীয় পুস্তক (এনসাইক্লো-বৃট.), (২) একটি পুস্তক কিংবা বাণী যাহা পৃথিবীর সর্বত্র নিয়া যাওয়া ও পৌঁছানো প্রয়োজন, কুরআনই একমাত্র পুস্তক যাহার বাণী সারা বিশ্বের জন্য সম্পূর্ণরূপে অবারিত। কেননা, যেখানে অন্যান্য অবতীর্ণ ধর্মগ্রন্থাদি স্থান, কাল ও পাত্রে সীমাবদ্ধ, সেখানে কুরআনই একমাত্র অবতীর্ণ ধর্মগ্রন্থ যাহা সকল দেশ, সকল জাতি ও সকল সময়ের জন্য আসিয়াছে (৩৪ঃ২৯), (৩) এমন গ্রন্থ যাহা সকল সত্যকে ধারণ করে, কুরআনই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যাহা যাবতীয় জ্ঞানের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। ইহাতে অন্যান্য অবতীর্ণগ্রন্থাবলীর শাশ্বত সত্যগুলি তো স্থান পাইয়াছেই, উপরন্তু সর্বাবস্থায় সকল মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক নতুন নতুন শিক্ষা ও সত্য ইহাতে সংযোজিত হইয়া, ইহা সর্বকালের জন্য পূর্ণতম গ্রন্থে পরিণত হইয়াছে (৯৮ঃ৪, ১৮ঃ ৫০)।