২০৫৭

যেহেতু খেলাফত সম্বন্ধে বিষয়বস্তুর ভূমিকাস্বরূপ এই আয়াত প্রস্তাবনা স্বরূপ, সেহেতু পূর্ববর্তী ৫২-৫৫ আয়াতগুলিতে আল্লাহ্ এবং তাঁহার রসূলের আনুগত্যের উপর বার বার জোর দেওয়া হইয়াছে। এই বৈশিষ্ট্য ইসলামে খলীফার অবস্থান এবং মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। আয়াতটিতে এই প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইয়াছে যে, মুসলমানদিগকে আধ্যাত্মিক এবং পার্থিব নেতৃত্বে অনুগৃহীত করা হইবে। এই প্রতিশ্রুতি সমগ্র মুসলিম জাতিকে দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু খেলাফতের ভিত্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন বিশেষ এক স্বতন্ত্র ব্যক্তির মধ্যে স্পষ্টতঃ প্রতীয়মানরূপে স্থাপিত হইবে, যিনি হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর উত্তরাধিকারী হইবেন এবং সমগ্র জাতির প্রতিনিধিত্বকারী হইবেন। খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ওয়াদা স্পষ্ট এবং সন্দেহাতীত। যেহেতু হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এখন মানব জাতির সর্বকালের জন্য একমাত্র পথনির্দেশক, সে কারণেই তাঁহার খেলাফত যে কোন আকারে পৃথিবীতে কেয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকিবে এবং অন্যান্য সকল খেলাফত অচল হইয়া যাইবে। অপরাপর সকল নবীর উপর আঁ-হযরত (সাঃ)-এর অনুপম বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্বসমূহের মধ্যে খেলাফতই হইতেছে সর্বোচ্চ বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেষ্ঠত্ব। আমাদের বর্তমান যামানায় আঁ-হযরত (সাঃ)-এর এই সব্বোচ্চ বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক ‘খেলাফত’ পরিলক্ষিত হইতেছে কেবল আহ্‌মদীয়া জামাআতের মধ্যে যাহা আঁ-হযরত (সাঃ)-এর শ্রেষ্ঠতম আধ্যাত্মিক খলীফার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। (দেখুন ‘দি লারজার এডিশন অব দি কমেন্টারী’ পৃষ্ঠা-১৮৬৯-১৮৭০)।