২০৫৩

এই আয়াতের তাৎপর্য এই যে, পূর্ববর্তী আয়াতে বর্ণিত আধ্যাত্মিক উন্নতি সার্বক্ষণিকভাবে এক অবস্থায় থাকে না। কখনো ইহা খুবই দ্রুত, কখনো মন্থর, আবার কখনো বা একেবারে স্তব্ধ হইয়া যায়। মানবের আধ্যাত্মিক অগ্রগতিকে, এই জোয়ার ভাঁটাকে ‘কাবয’ (সংকোচন) এবং ‘বাস্ত’ (সম্প্রসারণ) অথবা আধ্যাত্মিক পরিভাষায় যেমন দিন এবং রাত্রির পর্যায়ক্রম বলা হয়। জগতের প্রত্যেক বস্তু উত্থান এবং পতনের নিয়মাধীন এবং এইরূপেই মানুষের আধ্যাত্মিক ক্রমবিকাশ বা বিবর্ধন হইয়া থাকে।