২০৪-ক

ইসলামে প্রতিশোধ গ্রহণের আইন হত্যাকার্য বন্ধ করার একটি কার্যকরী উপায়। জীবনের নিরাপত্তার জন্য ইহা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। মানুষের জীবনকে নিয়া যে ব্যক্তি ছিনিমিনি খেলে, সে মানব-সমাজে বসবাস করার যোগ্যতা ও অধিকার হারাইয়া ফেলে। হত্যাকারীকে ক্ষমা করা কিংবা হত্যাকারীর শাস্তি রহিত করা বা কম করা একমাত্র তখনই সম্ভবপর, যখন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইহা নির্ণিত হয় যে, ক্ষমা করিলে বা কম শাস্তি দিলে সংশ্লিষ্ট সকলের পক্ষেই তাহা সুফল বহন করিবে (৪২ঃ৪১)। এইরূপে, ইসলাম একদিকে অপরাধ দমনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়াছে, অপরদিকে পরোপকার ও করুণার মহৎ গুণাবলী প্রদর্শনের দরজাও খোলা রাখিয়াছে। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার অবিরাম ও সুদীর্ঘ প্রচেষ্টা সত্বেও, আজিও মৃতু্যদণ্ডদানের বিধান বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিভিন্নরূপে প্রচলিত থাকায় ইহাই প্রমাণিত হয় যে, ইসলামের এই অধ্যাদেশটির মধ্যে প্রজ্ঞা ও যুক্তি রহিয়াছে। মৃত্যুদণ্ড রহিত করণের অত্যুৎসাহী প্রবক্তারা এখন পর্যন্ত ইহার বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে কিছু আবিস্কার করিতে পারেন নাই। তাহারা এই কথা বলিতে নিজেরাই বাধ্য হইয়াছেন, “দীর্ঘকালীন কারাদণ্ড উপযুক্ত বিকল্প তো নয়ই, বরং আরো ভয়াবহ” (ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট ইন দি টুয়েনটিয়েথ সেঞ্চুরী, প্রণেতা ঈ, রয় কালভার্ট, জি .পি, পুটন্যাম, লণ্ডন ১৯৩০)।