অতি আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা এই আয়াতের সত্যতা প্রতিপন্ন করিয়াছে। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এমন যন্ত্রের উদ্ভাবন করিয়াছে যাহার ব্যবহার কোন ব্যক্তির কথাকে সুরক্ষিত করিতে পারে, এমনকি তাহার হাত, পা অথবা তাহার দেহের অন্যান্য অঙ্গ সঞ্চালনের শব্দ পর্যন্ত ধরিয়া রাখিতে পারে। এই সকল যন্ত্রপাতি চোর এবং অন্যান্য অপরাধী হইতে সচেতন হইতে এবং কৈফিয়ৎ লইতে পুলিশকে অনেক সাহায্য করিতেছে। এইসকল যন্ত্রের সহায়তায় একজন দোষী ব্যক্তির জিহ্বা, হাত ও পা কেমন অবস্থায় ছিল উহাকে সাক্ষ্যরূপে উহার বিরুদ্ধে উপস্থাপন করিতে পারে। বিজ্ঞান এই বাস্তব অবস্থাও প্রতিপাদন করিয়াছে যে, বায়ুমণ্ডলে প্রতিটি ব্যক্ত কথা, অবস্থা বা ক্রিয়া ইহার ছাপ রাখিয়া যায়। পবিত্র কুরআন অনুযায়ী এই ছাপসমূহ পরজীবনে বাস্তবে মূর্ত করা হইবে এবং এইরূপে ভাল বা মন্দ কর্মের কর্তার অঙ্গ-প্রতঙ্গ তাহার বিরুদ্ধে অথবা পক্ষে সাক্ষ্য দান করিবে।