১৯৮৫

‘অতঃপর উহাকে আমরা অপর এক সৃষ্টিতে পরিণত করিলাম’ এই উক্তি হইতে সুস্পষ্ট যে, মানব-দেহে আত্মা বাহির হইতে আসে না, বরঞ্চ মাতৃগর্ভে ক্রমবিবর্ধনের প্রক্রিয়ায় দেহের অভ্যন্তরেই আত্মা জন্ম লাভ করে। প্রথমে দেহ হইতে আত্মার কোন পৃথক অস্তিত্ব থাকে না, কিন্তু মাতৃগর্ভে দেহ ক্রমবর্ধন ও পরিবর্ধন ও পরিবর্তনের প্রক্রিয়াসমূহের মধ্য দিয়া অতিক্রম করার সময় দেহ হইতে যে সুক্ষ্ম উপাদান নির্যাসিত করে, উহাকেই আত্মা বলে। যখনই আত্মা এবং দেহের মধ্যে সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে সুসমন্বিত হইয়া যায়, তখন হৃৎপিণ্ড কাজ করিতে আরম্ভ করে। অতঃপর আত্মা আপন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব লাভ করে এবং তখন হইতে আত্মার আবরণ রূপে দেহ কাজ করিতে থাকে। (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য ‘দি লারজার এডিশন অব দি কমেন্টারী’, ১৭৮৭ – ১৭৯০ পৃষ্ঠা)।