১৯৮৪

তফসীরাধীন সূরার প্রথম দশ আয়াতে মানবের আধ্যাত্মিক বিবর্তন বা ক্রমবিকাশের উল্লেখ করিবার পর কুরআন করীম বর্তমান ও পরবর্তী কতিপয় আয়াতে তাহার দৈহিক উন্নতির বিভিন্ন পর্যায় সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছে এবং এইভাবে মানুষের দৈহিক এবং আধ্যাত্মিক জন্ম ও ক্রমবর্ধনের মধ্যে এক অসাধারণ সাদৃশ্য স্থাপন করিয়াছে। জীব-বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রযুক্তি ছাড়াও এই সূরা স্পষ্ট এবং সহজে বোধগম্য ভাষায় এই বর্ণনা দিয়াছে। জীব-বিজ্ঞান এমন কিছু আবিষ্কার করে নাই যাহা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনভাবে কুরআন মজীদের বিরতির বিরুদ্ধে যায়। ‘আমরা মানুষকে কাদা মাটির নির্যাস হইতে সৃষ্টি করিয়াছি’ এই বাক্য দ্বারা প্রাথমিক স্তর হইতে মানব সৃষ্টির প্রণালী বা প্রক্রিয়াসমূহের উল্লেখ করা হইয়াছে, যখন মানুষ মৃত্তিকাকারে সুপ্ত থাকে এবং পৃথিবীর অজৈব বা অসংগঠিত মৌলিক অংশ পযায়ক্রমে, অতীব সূক্ষ্ম প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের খাদ্যের ভিতর দিয়া জৈব প্রাণশক্তিতে পরিবর্তিত হয়। এই স্তরে ‘ইহার পর সেই অস্থিগুঞ্জকে আমরা মাংস দ্বারা আবৃত করিলাম,’ (২৩ঃ১৫) অর্থাৎ ভ্রুণাবস্থা হইতে ক্রম-বিবর্তনের মাধ্যমে ইহা পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়।