১৯৫৮

এই আয়াত দ্বিতীয় কারণ উত্থাপন করিয়াছে। উহা এই যে, মুসলমানগণ কোন ন্যায়সম্মত ও বৈধ কারণ ছাড়াই তাহাদের বাড়ী-ঘর হইতে বিতাড়িত হইয়াছিল তাহাদের একমাত্র অপরাধ ছিল যে, তাহারা এক আল্লাহ্‌তে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছিল। বৎসরের পর বৎসর মক্কায় মুসলমানগণ নির্যাতিত হইয়াছিল, তৎপর তাহারা সেস্থান হইতে বিতাড়িত হইয়াছিল এবং মদীনায় হিজরতের পরে সেখানেও শান্তিতে থাকতে পারিল না। মদীনায় চারিদিকের আরব উপজাতিগুলির সমন্বিত আক্রমণ দ্বারা ইসলামকে সম্পূর্ণ নির্মূল করিয়া দেওয়ার অবস্থা সৃষ্টি করা হইল। কোরায়শগণ কা’বা ঘরের তত্ত্বাবধায়ক হওয়ায় তাহাদের প্রভাবই ছিল সর্বাপেক্ষা অধিক। স্বয়ং মদীনাও তখন ছিল বিদ্রোহ এবং বিশ্বাসঘাতকতা দ্বারা পরিপূর্ণ। নবী করীম (সাঃ)-এর দেশত্যাগের ফলে ঐক্যবদ্ধ ইহুদীগণের বিরোধিতা হ্রাস হওয়ার পরিবর্তে বৃদ্ধি পাইয়াছিল। এইরূপে ভয়ানক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে মুসলমানগণ নিজেদের জীবন, ঈমান এবং রসূল (সাঃ)-কে ধ্বংসের হাত হইতে রক্ষা করিবার জন্য অস্ত্র ধারণ করিতে বাধ্য হইয়াছিল। কোন মানুষের যদি কখনো যুদ্ধ করিবার যথার্থতা ও ন্যায়সম্মত কোন কারণ থাকিয়া থাকে, তাহা সর্বাংশে ছিল হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তাঁহার সাহাবা কেরামের (রাঃ)। তথাপি ইসলামের একেবারে অযৌক্তিক সমালোচনাকারীগণ আক্রমণাত্মক যুদ্ধ দ্বারা জবরদস্তিপূর্বক অনিচ্ছুক মানুষের উপর তাঁহার ধর্মের বিশ্বাস চাপাইয়া দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনিয়াছে।