আয়াতটি দুই প্রকার অর্থ বহন করে। (১) কুরবানীর নিয়ম-প্রণালী সর্ব ধর্মে সার্বজনীন, যদিও উহারা একে অপর হইতে আপন আপন উৎপত্তির স্থান ও কালের দিক হইতে বহুদূর ব্যবধানে পৃথক পৃথক। এই বাস্তব ঘটনা ইহাই প্রমাণ করে যে, আদিতে তাহারা সকলেই একই সর্বোচ্চ উৎস হইতে উদ্ভূত এবং সকল জাতির খোদাই এক ও অভিন্ন খোদা। (২) কুরবানীর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হইতেছে আমাদের উচ্চাকাংখা ও উচ্চাভিলাস, আমাদের সর্বপ্রকার ধারণা, কল্পিত আদর্শ এমনকি প্রাণ ও সম্মান আল্লাহ্তা’লার জন্য ত্যাগ করতঃ তাঁহার তৌহীদ অর্থাৎ একত্ব উপলব্ধি করা এবং ঘোষণা করা। ইসলাম ধর্মে কুরবানীর ধারণা, ক্রুদ্ধ দেব-দেবীকে সন্তুষ্ট করা নহে, অথবা কাহারও পাপের প্রায়শ্চিত্ত করাও নহে, বরং আল্লাহ্র জন্য এবং আল্লাহ্র পথে ব্যক্তির সমস্ত কিছুর কুরবানী করা।