এই আয়াত হযরত মূসা (আঃ)-এর কাশ্ফ বা দিব-দৃষ্টির প্রতি ইশারা করিতেছে। কাশ্ফ দুই প্রকার হইয়া থাকেঃ (ক) এক প্রকার কেবল নবী সম্পকীত কাশ্ফ যাহা সেই নবী দেখিয়া থাকেন। এইরূপ দিব্য-দৃষ্টিতে ঐশী নিদর্শন প্রদর্শন সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, (খ) দ্বিতীয় প্রকার কাশ্ফ যাহার মধ্যে ঐশী নিদর্শনের প্রকাশ নবীর জাতির লোকদিগের নিকটও সম্প্রসারিত হইয়া থাকে। মূসা (আঃ) বলিতে চাহিয়াছিলেন যে, তাঁহার দৃষ্ট বিষয় যদি দ্বিতীয় প্রকারের হইয়া থাকে, তাহা হইলে তাঁহার জাতির জন্য নতুন শরীয়াত তাঁহাকে দেওয়া হইবে, কিন্তু উহা প্রথমোক্ত শ্রেণীর হইলে শুধু তাঁহার নিজস্ব আধ্যাত্মিক অগ্রগতির জন্য কিছু নির্দেশ পাইবেন।