এই সূরা খৃষ্টান ধর্মমতের, বিশেষভাবে ‘ঈসা (আঃ) খোদার পুত্র’ এই মূল মতবাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জোরের সঙ্গে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়াছে, যাহা হইতে অন্যান্য ধর্মমত উদ্ভূত। বর্তমান এবং পূর্ববর্তী চার আয়াত উক্ত মতের নিন্দা ও খণ্ডন করার উপর বিশেষভাবে জোর দিয়াছে। ইহা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, আল্লাহ্তা’লার সিফ্ত ‘আর্ রাহমান’ (অর্থঃ অযাচিত-অসীম দাতা) এই সূরাতে ১৬ বার উল্লেখিত হইয়াছে। ঈসা (আঃ)-এর খোদার পুত্রত্ব এবং ইহার অনুসিদ্ধান্ত ধর্মমতের মূল ভিত্তিরূপে প্রায়শ্চিত্তের মতবাদ ঐশী গুণ ‘আর্ রাহমান’ (অযাচিত-অসীম দাতা)-এর প্রতি অস্বীকৃতির জট পাকাইয়া ফেলে এবং যেহেতু অত্র সূরার মূল বিষয়বস্তু হইল উক্ত ধর্মমতের খণ্ডন সেই জন্য এই সিফ্ত বা গুণ অপরিহার্যভাবে বারংবার উল্লেখিত হইয়াছে। প্রায়শ্চিত্তবাদের মধ্যে রহিয়াছে যে, খোদা ক্ষমা করিতে পারেন না, অথচ ‘আর্ রাহমান’ গুণের মধ্যে নিহিত রহিয়াছে যে, তিনি ক্ষমা করিতে পারেন এবং প্রকৃতপক্ষে কার্যক্ষেত্রে প্রায়শঃ মানুষকে ক্ষমা করিয়া থাকেন, এই কারণেই এই সূরাতে বার বার আর রহমান-এর পুনরাবৃত্তি হইয়াছে।