“অন্য লোকের পক্ষ হইতে তোমাদের বিরুদ্ধে কোন যুক্তি খাড়া না হয়”-এই বাক্যটির তাৎপর্য ইহাই যে, যদি মুসলমান জাতি মক্কা বিজয়ে অসমর্থ হয়, তাহা হইলে ইসলামের শত্রুরা যুক্তিসঙ্গত ভাবেই আপত্তি উত্থাপন করিবে যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রার্থনার ফল সেই ব্যক্তিত্ব নহেন (২ঃ১৩০)। এমতাবস্থায়, প্রতিশ্রুত নবী বলিয়া তাঁহার যে দাবী, সেই দাবী মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়। তদুপরি, যে কা’বা গৃহের দিকে মুখ রাখিয়া নামায পড়িবার জন্য মুসলমানদেরকে আদেশ করা হইয়াছে, তাহা পৌত্তলিক আরবদের হাতে থাকিয়া, মূর্তিদ্বারা পরিপূর্ণ হইয়া রহিয়াছে। মূর্তিগুলির অবস্থান যতদিন কা’বা গৃহে থাকিবে, ততদিন মুসলমান উম্মতকে মূর্তিপূজক বলিয়া অভিযুক্ত করার সুযোগ থাকিয়া যাইবে। এই আপত্তির পূর্ণ খণ্ডন কেবল তখনই হইতে পারে যখন এই পবিত্র গৃহ, যাহা একমাত্র মা’বুদ আল্লাহ্র ইবাদতের জন্যই নিবেদিত ছিল, তাহা মূর্তি-মুক্ত হয়। এই কারণেই জেরুজালেমের স্থলে কা’বাকে ‘কিব্লা’ হিসাবে গ্রহণের নির্দেশদানের পরে পরেই স্বাভাবিকভাবে মক্কা বিজয়ের আদেশও অবতীর্ণ হয়।