১৭৪৬

ইসলামের অভ্যুত্থানের প্রাথমিক কতিপয় শতাব্দীতে ইহা অতি দ্রুত উন্নতি করিয়াছিল। প্রত্যেক ধর্মমতের লোকদিগের মধ্য হইতে বহু সংখ্যক লোক—বিশেষভাবে খৃষ্টানদিগের বিরাট দল ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করিয়াছিল। তাহারা ঈসা (আঃ) সম্বন্ধে তাহাদের ভ্রমাত্মক বিশ্বাস সঙ্গে নিয়াই আসিয়াছিল। যেহেতু ইসলাম ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও পূর্ণ মর্ম তখনও তাহারা উপলদ্ধি করিয়া উঠিতে পারে নাই, সেহেতু ধর্মান্তরিত হওয়ার পরবর্তী কালে তাহাদের মিথ্যা ধারণা ও ভুল বিশ্বাস মুসলিম সাহিত্যে অনুপ্রবেশ করিয়াছিল। ইহার ফলে পরবর্তী কালে উহা মুসলমানগণের বিশ্বাসে প্রক্ষিপ্ত হইয়া গিয়াছিল। এই সকল বিশ্বাস বা ধারণা উদ্ভব করা হইয়াছিল ঈসা (আঃ)-কে অসাধারণ ব্যক্তিত্বে ভূষিত করার উদ্দেশ্যে— এমন ব্যক্তিত্বে যাহা মানবের গণ্ডীর উর্ধ্বে। হযরত ঈসা (আঃ) সম্পর্কে অজ্ঞতাপূর্ণ এই সমস্ত বিশ্বাস কুরআন করীম তফসীরাধীন এই সূরার মধ্যে ভাঙ্গিয়া চূর্ণবিচূর্ণ করিয়া দিয়াছে। এই সূরা এবং সূরা আলে ইমরান হযরত ইয়াহ্‌ইয়া এবং ঈসা (আঃ)-এর মধ্যে তুলনা স্থাপন করিয়া পরোক্ষভাবে মনের মধ্যে চিন্তার যোগান দিতে চাহিয়াছে যে, হযরত ঈসা (আঃ)-এর মধ্যে এমন কোন কিছুই ছিল না যাহা তাঁহাকে অন্যান্য সকল নবী হইতে পৃথক করিয়া দিয়াছিল। (দেখুন দি লারজার এডিশন অব দি কমেন্টারী, পৃঃ ১৫৬৫)।