১৬৭৪

এই স্থলে উক্ত গুহার ভৌগোলিক অবস্থান ব্যক্ত হইয়াছে। মনে হয় গুহাটি এমনভাবে অবস্থিত ছিল যে, উহা উত্তর-পশ্চিম মুখী ছিল, কারণ সূর্য প্রদক্ষিণের পথ অর্থাৎ সূর্য কিরণ পতিত হওয়ার স্থান গুহার ডানদিকে এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় উহা গুহার বাম দিকে তখনই হইতে পারে যখন গুহার মুখ উত্তর দিকে হয়। ইহা প্রতীয়মান হয় যে, গুহাটি এক সমতল স্থান জুড়িয়া অবস্থিত ছিল ‘যাহা প্রশস্ত জায়গা’ শব্দ দ্বারা ব্যক্ত হইতেছে। রোমে আজও বিদ্যমান ‘ক্যাটাকম্বস্’ এই মতকে দৃঢ়ভাবে প্রতিপন্ন করিতেছে। ইহারা এক বিশাল অঞ্চল পরিবেষ্টন করিয়া রহিয়াছে যাহা ৮৭০ মাইল বিস্তীর্ণ এলাকা বলিয়া অনুমান করা হইয়াছে (এনসাইক, ব্রিট)। ইহাও অনুমান করা হয় যে, ক্যাটাকম্বগুলিতে খুব কম আলো প্রবেশ করিত। এই গুহাকে এমনভাবে প্রশস্ত করা হইয়াছিল যাহাতে উহার মধ্যে আত্মগোপন করিয়া বা লুকাইয়া থাকা যায়। খৃষ্টীয় ৪র্থ শতাব্দীতে সেন্ট জেরোমি ক্যাটাকম্বস পরিদর্শন ও পরীক্ষা করার পর বলেন, “এইগুলি এত অন্ধকার যে, মনে হয় নবীর [ঈসা (আঃ)] কথা(গীত সংহীতা-৫৫ঃ১৫) পূর্ণ হইয়া গিয়াছে, যথা— “তাহারা জীবদ্দশায় পাতালে নামুক।” কখনো কখনো মাত্র সাময়িকভাবে বিষাদ ও হতাশায় আতঙ্কের তীব্রতা হ্রাস করার মত আলো প্রবেশ করিত, তাহাও জানালার মধ্য দিয়া নহে, ছিদ্র দিয়া” (এন সাইক, ব্রিট, ১১শ সংস্করণ)।