এখানে এই সূরার ২ আয়াতে উল্লেখিত কাশ্ফ সম্পর্কে বলা হইয়াছে। এই কাশ্ফে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজেকে জেরুযালেমের উপাসনালয়ে (মসজিদুল আকসাতে) যাহা ইহুদীগণের কিবলা ছিল, অন্যান্য নবীগণের নামাযের ইমামতি করিতে দেখিয়াছিলেন। এই দিব্য-দর্শন বা কাশ্ফ ইংগিত করে যে, ঐ সকল নবীর উম্মত বা অনুসারীরা ভবিষ্যতে কোন এক সময় ইসলামের পতাকাতলে সমবেত হইবে। ইহাই হইতেছে ‘নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক এই সকল লোককে (ধ্বংস করার জন্য) পরিবেষ্টন করিয়াছেন’ বাক্যের মমার্থ। ইসলামের সাধারণ বিজয় বা প্রসার ঘটিবে বিশ্বব্যাপী ধ্বংস কাণ্ডের অব্যবহিত পরে যাহার উল্লেখ রহিয়াছে ৫৯ আয়াতে।