১৬১

এখানে মুসলমান জাতিকে বলা হইতেছে তাহারা যেন বংশ পরম্পরায় পরবর্তী বংশের প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং তাহাদিগকে ভ্রান্তি হইতে রক্ষা করে। সর্বোত্তম উম্মত (জাতি) হিসাবে ইহা তাহাদের উপর ফরয (অত্যাবশ্যক) যে, তাহারা যেন ঈপ্সিত উচ্চ নৈতিক মানের জীবন হইতে ছিটকাইয়া পদস্খলিত না হয় এবং এই বিষয়ে সর্বদা সচেতন থাকে। প্রত্যেক প্রজন্ম পরবর্তী প্রজন্মের উপর বিশেষ লক্ষ্য রাখিবে যাহাতে তাহারা মহানবী (সাঃ)-এর সান্নিধ্য-লাভকারী মহান সাহাবাগণের অনুসৃত পথ অবলম্বন করিয়া চলে। এইভাবে রসূলে করীম (সাঃ) ছিলেন প্রথম যুগের সাহাবীগণের অভিভাবক, সাহাবীগণ ছিলেন তাহাদের সন্নিহিত পরবর্তীগণের (তাবেয়ীনদের) অভিভাবক, এইরূপ অভিভাবকত্ব ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রাখার উপদেশ এই আয়াতে দেওয়া হইয়াছে। আয়াতের প্রথম বাক্যটির অর্থ এইরূপও হইতে পারেঃ ইহা নির্ধারিত হইয়া আছে যে, মুসলমানেরাই মানব জাতির নেতৃত্ব করিবে। অতএব, সৎকার্যাদির মাধ্যমে আল্লাহ্‌র বিশেষ অনুগ্রহ প্রাপ্তির উপযুক্ত করিয়া নিজেদেরকে গড়িয়া তোলা উচিত। তাহা হইলে অন্যান্য জাতিও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছিবে যে, মুসলমানরাই খাঁটি ও সত্য ধর্মের অনুসারী। এইভাবে মুসলমানেরা বংশ পরম্পরায় অপর জাতির কাছে ইসলামের সত্যতার সাক্ষী হইতে পারে-যেমন রসূলে পাক (সাঃ) ও সাহাবীগণ অপর জাতির নিকট ইসলামের সত্যতার সাক্ষী হইয়াছিলেন।