১৫৯৪

নির্বাসনে ইহুদীগণ উন্নতি করিতে থাকে। তাহাদের অধিকাংশকে কেন্দ্রীয় ব্যাবিলনিয়াতে জাতীয় কাজে নিয়োগ করা হইল এবং তাহাদের মধ্যে অনেকেই পরিণামে স্বাধীনতা অর্জন করিল এবং মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হইল। তাহাদের বিশ্বাস ও ধর্মীয় অনুরাগ পুনর্জীবিত হইল, ইতিহাসে তাহারা জ্ঞানার্জন করিল, তাহা পুনঃ সম্পাদনা করিল এবং জাতীয় পুনর্জীবনের উপযোগী করিয়া রচনা করিল এবং প্যালেষ্টাইন পুনরুদ্ধারের আশা আকাংখা পোষণ ও প্রচার করিতে লাগিল। প্রায় খৃষ্টপূর্ব ৫৪৫ সনে তাহাদের এই উচ্চাকাংখা আরো নিশ্চিত রূপ পরিগ্রহ করিল। ইহুদীগণ মেদিয়া ও পারশ্য রাজা সাইরাস (Cyrus)-এর সঙ্গে এক গোপন চুক্তি সম্পাদন করিল এবং তাহাকে ব্যাবিলন জয় করিতে সাহায্য করিল। নগরবাসীরা বিনা বাধায় খৃষ্টপূর্ব ৫৩৯ সনের জুলাই মাসে আত্মসমর্পণ করিল। ইহুদীগণের এই কাজের পুরস্কার স্বরূপ রাজা সাইরাস তাহাদিগকে জেরুযালেমে প্রত্যাবর্তনের অনুমতি দিলেন এবং তাহাদের ধর্মীয় ইবাদতখানা পুননির্মাণ করার জন্য সাহায্য করিলেন (হিষ্টরিয়ানস্ হিষ্টরি অব দি ওয়ার্লড, ২য় খণ্ড, ১২৬ পৃষ্ঠা; যিউ এনসাইকো, ৭ম খণ্ড, ‘জেরুযালেম’ অধ্যায়, এনসাইক বিব সাইরাস অধ্যায় এবং ২-বংশাবলী-৩৬ঃ২২-২৩) জুডিয়ান শেশবাজার (সাইরাসের অধীনস্থ শাসনকর্তা) সেই সব সম্পদ মন্দিরের ধর্ম যাজকের নিকট ফিরাইয়া দিল যাহা নেবুখদনিৎসর নিয়া গিয়াছিল এবং রাজকোষের খরচে সব কিছু পুনঃস্থাপনের কাজ করিয়া দিল। নির্বাসিতদের এক বৃহৎ দল জেরুযালেমে প্রত্যাবর্তন করিল (ইষা-১ঃ৩-৫)। ইবাদতখানা পুনর্নির্মাণের কাজ নিয়মিত আগাইয়া চলিল এবং খৃষ্টপূর্ব ৫১৬ সালে সম্পূর্ণ হইল ৷ এই সকল ঘটনাবলী এবং ইহুদীদের তৎপরবর্তী উন্নতি সম্পর্কিত ঘটনাবলী এই আয়াতে বর্ণিত হইয়াছে এবং এই সকল ঘটনাবলী সংঘটিত হওয়ার বহু পূর্বেই এগুলি সম্পর্কে হযরত মূসা (আঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন (দ্বিতীয় বিবরণ-৩০ঃ১-৫)।