১৫৯১-ক

তফসীরাধীন আয়াতে বর্ণিত নবী করীম (সাঃ)-এর কাশ্‌ফ এর মধ্যে এক মহান ভবিষ্যদ্বাণী নিহিত রহিয়াছে। দূরবর্তী মসজিদে তাঁহার ভ্রমণ দ্বারা মদীনায় প্রত্যাবাসন এবং সেখানে এক মসজিদ নির্মাণ করার ইংগিত বহন করিতেছে, যাহা পরবর্তী সময়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় মসজিদরূপে নির্ধারিত হইবে। কাশ্‌ফে ‘মহানবী (সাঃ) নামাযে অন্যান্য নবীগণের ইমামতি করিতেছিলেন’, ইহা দ্বারা ব্যক্ত করা হইয়াছে যে, নতুন ধর্ম ইসলাম ইহার জন্মস্থানেই কেবল সীমাবদ্ধ থাকার জন্য প্রবর্তিত হয় নাই, বরং ইহা বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করিবে এবং অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীগণ ইসলাম ধর্মের পতাকাতলে সমবেত হইবে। কাশ্‌ফে জেরুযালেম গমন দ্বারা ইহাও ব্যক্ত হইতে পারে যে, তাঁহাকে (সাঃ) সেই অঞ্চলের আধিপত্য দান করা হইবে যেখানে জেরুযালেম অবস্থিত। এই ভবিষ্যদ্বাণী হযরত ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতের সময় পূর্ণ হইয়াছিল। এই কাশ্‌ফ দ্বারা ভবিষ্যতে কোন দূরবর্তী দেশে মহানবী (সাঃ)-এর আধ্যাত্মিক সফরের ইংগিত রূপেও ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে। ইহার অর্থ হইল যে, যখন আধ্যাত্মিকভাবে অন্ধকার সারা বিশ্বকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিবে তখন নবী করীম (সাঃ)-এরই কোন অনুগামীর মধ্যে তাঁহারই আত্মিকরূপে দ্বিতীয় আবির্ভাব ঘটবে— তাঁহার প্রথম আবির্ভাবের ঘটনাস্থল হইতে বহু দূরের কোন অঞ্চলে। মহানবী (সাঃ)-এর এই দ্বিতীয় রূহানী আবির্ভাব প্রসঙ্গে সূরা জুমুআর ৩-৪ আয়াতে সুনির্দিষ্ট উল্লেখ রহিয়াছে।