মৌমাছির বিষয়টি বর্তমান আয়াতে আরও বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত হইয়াছে। মৌমাছিকে আল্লাহ্তা’লা অনুপ্রাণিত করেন। বিভিন্ন ফল-ফুল হইতে ইহারা খাদ্য গ্রহণ করিবার জন্য এবং তৎপর উহার দৈহিক গঠনশৈলী এবং আল্লাহ্তা’লা কর্তৃক শিক্ষা প্রণালী যাহা উহার প্রতি নাযেল করা হইয়াছে সেই সবের সমন্বয়ে সে উহার সংগৃহীত খাদ্যকে মধুতে পরিবর্তিত করে। মধু বিভিন্ন রং ও গন্ধের হইয়া থকে, কিন্তু সকল প্রকার মধুই মানবের জন্য অত্যধিক উপকারী। এই ঘটনা ইংগিত করিতেছে যে, বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ্তা’লার নবীগণের উপর ওহী নাযেল হইয়া আসিতেছে এবং এক নবীর শিক্ষা অন্য নবীর শিক্ষা হইতে কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ে যদিও ভিন্নতর, তথাপি প্রভেদ সত্বেও সকল শিক্ষাই হইতেছে সংশ্লিষ্ট জাতির লোকের নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত পন্থা।