এই তিনটি শব্দের প্রত্যেকটি অর্থাৎ ‘ইয়াতাফাক্কারুন’, ‘ইয়াকেলূন’, ‘ইয়ায্যাক্কারুন’ যথাক্রমে ১২, ১৩ এবং ১৪ আয়াতের শেষে ব্যবহৃত হইয়াছে। এই শব্দগুলির চয়ন আয়াত বিশেষে ব্যবহৃত বিষয়বস্তুর সঙ্গে শুধু বিশেষভাবে উপযোগীই নহে, বরং সমষ্টিগতভাবে এই তিনটি আয়াতে বর্ণিত সাধারণ প্রশংসার সম্পর্কও প্রযোজ্য। স্ব স্ব স্থানে উহাদের বিশেষ ব্যবহার তাহাদের গুরুত্বের পরিমাণ নির্ধারক। ‘ইয়াতাফাক্কারুন’ অর্থঃ (প্রতিফলন, প্রতিবিম্ব, গভীর চিন্তা) শব্দটি প্রথমে ব্যবহার হইয়াছে, কারণ মানুষের নৈতিক পুনর্গঠন বা সংস্কার সাধনের প্রক্রিয়ায় ইহাই সকল নৈতিক গুণাবলীর মধ্যে সর্বপ্রথম উপায় যাহাকে সর্বাগ্রে জাগ্রত করিতে হয়। গভীর চিন্তাশীলতার অভ্যাস হইতে ধীশক্তি ও জ্ঞানের উদ্ভব হয় বা যুক্তিপূর্ণভাবে বিবেকের সঠিক ব্যবহার হইয়া থাকে। দ্বিতীয়তঃ ইয়াকলুন- স্তরে মানুষ নৈতিক সংশোধন বা সংস্কার সাধনে সাফল্য বা পরিপূর্ণতা অর্জন করে। ইহার পরেই আসে তৃতীয় স্তর যেখানে কুপ্রবৃত্তিগুলি সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয় এবং নৈতিক যুদ্ধ বা বিবাদ শেষ হইয়া যায়, এবং ‘ইয়ায্যাক্কারুন’ স্তরে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে এবং স্বতঃ সতর্ককারী হয় এবং সৎকর্মশীলতা তাহার স্বভাবে পরিণত হইয়া যায়।