এই আয়াত নির্দেশ করিতেছে যে, জড় জগতে দুষ্ট প্রবৃত্তির লোক যেমন কোন প্রকার শক্তি বা প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রয়োগ করিয়া অন্যান্য লোকের কিছু ক্ষতি সাধন করিতে পারে, কিন্তু তাহাদিগকে স্বর্গীয় কল্যাণ হইতে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করিতে পারে না, যেমন নক্ষত্র ইত্যাদির প্রভাবেও অনুরূপ ঘটিতে পারে। সেইরূপ আধ্যাত্মিক জগতেও নবী এবং তাঁহার সত্য অনুসারীগণের উপর শয়তানের কোন প্রভাব খাটে না (আয়াত ৪৩)। তফসীরাধীন আয়াতে “শয়তান” শব্দ সেই সকল অবিশ্বাসীদের প্রতি ইঙ্গিত করিতেছে যাহারা মনে করে যে, প্রেরিত নবীদিগকে বাদ দিয়াই স্বাধীনভাবে আল্লাহ্তা’লার সহিত সংযোগ সাধন করা যায় (আয়াত ১৪-১৬)। এইরূপ লোকের জন্য আধ্যাত্মিক আকাশসমূহ প্রহরারত রাখা হইয়াছে এবং উহাদের দ্বার রুদ্ধ রাখা হইয়াছে।