কেবল মাত্র সূরা নমলের ২য় আয়াতে এবং এই তফসীরাধীন আয়াতে ‘কিতাব’ এবং ‘কুরআন’ শব্দদ্বয় একসঙ্গে ব্যবহৃত হইয়াছে; কিন্তু বর্তমান আয়াতে ‘কিতাব’ শব্দ প্রথমে এবং ‘কুরআন’ শব্দ পরে আসিয়াছে এবং সূরা নমলে শব্দদ্বয় উলটাভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে, অর্থাৎ ‘কুরআন’ প্রথমে এবং ‘কিতাব’ পরে ব্যবহৃত হইয়াছে। কিতাব শব্দ এই ভবিষ্যদ্বাণীর দিকে ইঙ্গিত করিতেছে যে, ইসলামের এই পবিত্র গ্রন্থ, লিখিত আকারে প্রকাশ হইতে থাকিবে; আর কুরআন শব্দ দ্বারা এই ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতি নির্দেশ করিতেছে যে, ইহা ক্রমবর্ধিতভাবে পঠিত ও পুনরাবৃত্ত হইতে থাকিবে। ইহা ব্যতীত কুরআনে ‘স্পষ্ট বর্ণনাকারী’ ‘কুরআন’ শব্দদ্বয় মাত্র দুইবার ব্যবহৃত হইয়াছে, আর স্পষ্ট বর্ণনাকারী ‘কিতাব’ শব্দ দুইটি কমপক্ষে ১২ বার ব্যবহৃত হইয়াছে। এতদ্বারা ইহাই ইঙ্গিত করা হইয়াছে যে, লিখিত বিবরণী বা প্রমাণ মৌখিক কথাবার্তার আদান-প্রদান হইতে অধিকতর কার্যকর। অতএব, মুসলমানদের শিক্ষার্জনের প্রতি এবং লিখিত জ্ঞান অন্বেষার প্রতি অধিক মনোনিবেশ করা উচিৎ।