১৪৪

মাসাবা এমন স্থানকে বুঝায়, যেখানে যাওয়া পুরস্কারযোগ্য পূণ্যের কাজ। মানুষের সমাগম-স্থল (মুফরাদাত)। কিছু কিছু হাদীস অনুযায়ী কা’বা গৃহ প্রথমে আদম কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল। কুরআনেও এইরূপই ইশারা পাওয়া যায় (৩ঃ৯৭)। ইহা আদমের বংশধরদের জন্য কিছু কাল পর্যন্ত উপাসনা-কেন্দ্র হিসাবে গণ্য ছিল। সময়ের ব্যবধানে তাহারা নানাভাবে, নানাদিকে, নানা কারণে পৃথক হইয়া পড়িল এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়া বিভিন্ন উপাসনালয় বানাইয়া লইল। ইব্‌রাহীম (আঃ) কা’বাগৃহের পুনর্নির্মাণ করিলেন এবং ইহা তাঁহার পুত্র ইসমাঈল ও তাঁহার বংশের উপাসনাকেন্দ্র হইয়া রহিল। কিন্তু বহুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর, এই পবিত্র গৃহ ক্রমে ক্রমে মূর্তিপূজার আখড়াতে পরিণত হইয়া গেল। মূর্তির সংখ্যা বাড়িতে বাড়িতে শেষ পর্যন্ত মহানবী (সাঃ)-এর সময়ে তিনশত ষাটটিতে পৌঁছিয়াছিল, যেন বৎসরের প্রতিটি দিনের জন্য এক একটি মূর্তির পূজা হইতে পারে। যাহা হউক, রসূলে করীম (সাঃ)-এর বিশ্বনবী রূপে আগমনের পরে আবার ইহাকে বিশ্বের সকল জাতির উপাসনালয়ে পরিণত করা হইয়াছে। আদম (আঃ)-এর পরে যাহারা পৃথক হইয়া পড়িয়াছিল, তাহাদিগকে একই পৈতৃক কেন্দ্রের দিকে পুনরাকর্ষণ করতঃ মানবতার এক বিরাট ও মহান বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ব গঠনের জন্যই বিশ্বনবীকে প্রেরণ করা হইয়াছে।