আল্লাহ্ই প্রথম সৃষ্টিকারী। এই গুণটি ঈসা বা যীশুর ঈশ্বরত্বকে নস্যাৎ করিয়া দেয়, তেমনি হিন্দুদের বস্তু ও আত্মা আদি ও অবিনশ্বর হওয়ার ধারণাকে বানচাল করিয়া দেয়। (১) আল্লাহ্তা’লা পৃথিবী ও আকাশ সমূহের স্রষ্টা কথাটি দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায়, পুত্রের তথা অন্যের সাহায্য তাহার জন্য নিষ্প্রয়োজন। (২) বিশ্ব-জগতের আদি-স্রষ্টা তিনিই অর্থাৎ তিনি নাস্তি হইতেই সব কিছু অস্তিত্বে আনয়ন করিয়াছেন, তাহার জন্য কোন নমুনা বা কোন উপাদানের প্রয়োজন হয় নাই। (৩) তিনি সর্বশক্তিমান অর্থাৎ তিনি যখন কোন কিছু সৃষ্টি করিতে মনস্থ করেন, তখন তাঁহার হুকুমে, উপযুক্ত আকারে তাহা অস্তিত্বে আসিয়া যায় ও বাস্তবতা লাভ করে। এই কথার অর্থ সর্ব ক্ষেত্রেই ইহা নয় যে, আল্লাহ্ যখন কোন কিছু করিতে বা ঘটাইতে ইচ্ছা করেন, তখন তাহা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটাইয়া ফেলেন। আসলে ইহার অর্থ এই যে, তিনি কোন কিছুকে অস্তিত্বে আনিতে ইচ্ছা করিলে, সেই ইচ্ছাকে ব্যর্থ করিবার শক্তি কাহারো নাই, তাহা হইবেই, ঘটিবেই।