১৩৮৯

এই খণ্ড বাক্য ‘ইল্লা মা রাহিমা রাব্বী’ (ঐ ব্যক্তি ব্যতিরেকে যাহার প্রতি আমার প্রভু দয়া করেন) তিন প্রকার ব্যাখ্যা সাপেক্ষঃ (ক) সেই নফস যাহার উপর আল্লাহ্‌তা’লার দয়া আছে, ‘মা’ শব্দাংশ এখানে নাফস অর্থে ব্যবহৃত (খ) সে ব্যতীত যাহার উপর আমার প্রভু দয়া করেন, এখানে ‘মা’ মানুষ বা লোক অর্থে ব্যবহৃত, (গ) হাঁ, কিন্তু আল্লাহ্‌তা’লারই করুণা যাহাকে পসন্দ করেন তাহাকে রক্ষা করিয়া থাকেন। এই তিনটি অর্থ মানবের আধ্যাত্মিক উন্নতির তিন প্রকারের অবস্থার প্রতি নির্দেশ করে। প্রথমোক্ত অর্থ সেই অবস্থার প্রতি নির্দেশ করে যখন মানুষ আধ্যাত্মিকতার পূর্ণতা অর্জন করে যে অবস্থাকে ‘নফসে মুতমা’ইন্নাহ’বা শান্তি-প্রাপ্ত আত্মা বলা হয় (৮৯ ঃ২৮)। দ্বিতীয় অর্থ সেই লোকের জন্য প্রযোজ্য যে এখনো ‘নফসে লাও ওয়ামাহ’ বা পুনঃ পুনঃ ভর্ৎসনাকারী আত্মার অবস্থায় রহিয়াছে (৭৫ঃ৩), অর্থাৎ যখন মানুষ তাহার পাপাচারের এবং স্বাভাবিক কুপ্রবৃত্তিগুলির বিরুদ্ধে জেহাদ বা লড়াই করিতে থাকে, কখনো এই কুপ্রবৃত্তিগুলিকে দমন করিতে পারে, আবার কখনো ইহাদের দ্বারা পরাস্ত হইয়া যায়। তৃতীয় অর্থ সেই লোকের জন্য প্রয়োগ করা হইয়া থাকে যাহার মধ্যে কুবৃত্তি বা পশুত্ব প্রবল থাকে বা প্রাধান্য বিস্তার করিয়া চলে। এই অবস্থাকে ‘নফসে আম্মারাহ’ বা বেশী বেশী মন্দ কার্যে আদেশ দানকারী আত্মা বলা হয়।