১৩০৪

এই আয়াতে নবী করীম (সাঃ)-এর সমর্থনে ৩টি যুক্তি দেওয়া হইয়াছে—এই সকল কথা দ্বারা যেমন (ক) ‘যে তাঁহার প্রভুর নিকট হইতে সুস্পষ্ট নিদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত আছে,’ (খ) ‘যাহার অনুসরণ করিয়া তাঁহার নিকট হইতে একজন সাক্ষী আগমন করিবে’ (গ) ‘তাঁহার পূর্বেও মূসার গ্রন্থ পথনির্দেশক ও রহমত স্বরূপ ছিল’। ‘তাঁহার প্রভুর নিকট হইতে সুস্পষ্ট নিদর্শন’ দ্বারা বুঝায় যে, একটি দুর্নীতিপরায়ণ ও অধঃপতিত জাতির জীবনে রসূলে পাক (সাঃ) যে মহৎ আধ্যাত্মিক ও নৈতিক বিপ্লব ঘটাইয়াছিলেন এবং যাহারা তাঁহার সত্যতার সাক্ষীরূপে জলন্ত নিদর্শন, তাহারা হইলেন নবী করীম (সাঃ)-এর অনুসারী, তাঁহারই আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার ফলে আল্লাহ্ প্রদত্ত গুণে বিভূষিত হইয়া মানব জাতির জন্য আদর্শ শিক্ষাগুরুরূপে পরিগণিত হইয়াছিলেন এবং তাহারা তাহাদের নৈতিক শিক্ষা ও আমল দ্বারা ইসলাম এবং কুরআনের সততাকে যুগে যুগে সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়া গিয়াছেন। ‘সর্বোত্তম অনুগমনকারী সাক্ষীর আগমন’ করা দ্বারা আহমদীয়া জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিশ্রুত মসীহ (আঃ)-কে বুঝায়। তাহার পূর্বেও মূসার গ্রন্থ দ্বারা বাইবেলে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সম্বন্ধে যে সব ভবিষ্যদ্বাণী আছে তাহা নির্দেশ করিতেছে। ২১৩৫ টীকা দ্রষ্টব্য।