প্রনিধানযোগ্য বিষয় যে, সকল ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাসের পুস্তকের মধ্যে একমাত্র পবিত্র কুরআন শরীফই এই ঘটনা বর্ণনা করিয়াছে। বাইবেল এই বিষয়ে কিছু উল্লেখ করে নাই, না কোন গ্রন্থ কিছু উল্লেখ করিয়াছে। কিন্তু কি বিস্ময়করভাবে আল্লাহ্তা’লার কথা সত্য প্রমাণিত হইয়াছে। সাড়ে তিন হাজার বৎসরেরও বেশী সময় ধীরে ধীরে বিস্মৃতির তলে বিলীন হইয়া যাওয়ার পর ফেরাউনের মৃতদেহ আবিষ্কৃত হইয়াছে এবং কায়রোর যাদুঘরে উহা সুরক্ষিত রহিয়াছে। তাহার অবয়ব দৃষ্টে মনে হয়, ফেরাউন ক্ষীণদেহী খর্বাকৃতির লোক ছিল এবং তাহার চেহারা ক্রোধ ও স্থূল বুদ্ধির পরিচয় বহন করে। হযরত মূসা (আঃ) জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন দ্বিতীয় রামেসিস্-এর সময়ে এবং তাহার দ্বারাই প্রতিপালিত হইয়াছিলেন (যাত্রাপুস্তক-২ঃ২-১০)। কিন্তু তাহার পুত্র মিরনেপ্তা(মেনেফতা)-এর রাজত্বকালে তিনি(মূসা-আঃ) নবুওয়াতের মিশনের দায়িত্বভার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন (যিউ এনসাইকো, ৯ম খণ্ড, ৫০০ পৃঃ এবং এনসাইকো বিব্ “ফারাও” এবং “মিশর” অধ্যায় দ্রষ্টব্য)।