‘জিব্রাঈল’ একটি মিশ্র শব্দ ‘জবর’ ও ‘ঈল্’ এই দুই শব্দ দ্বারা গঠিত। ইহার অর্থ আল্লাহ্র বান্দা, আল্লাহ্র সাহসী লোক (হিব্রু-ইংলিশ লেক্সিকন, প্রণেতা উইলিয়াম জোসনিয়াস, বুখারী তফসীর অধ্যায় আক্রাব)। ইবনে আব্বাসের মতে জিব্রাঈলের অপর নাম আব্দুল্লাহ (জরীর)। জিব্রাঈল ফিরিশ্তাদের সর্দার (মনসুর)। তিনিই কুরআনের বাণী- বাহক (বৃহত্তর ইংরেজী তফসীর দেখুন)। কুরআনের তফসীরকারকগণের মতে জিব্রাঈল, রূহুল কুদুস ও রূহুল আমীন সমার্থক। বাইবেলের মতানুযায়ীও জিব্রাঈলের কাজ হইল আল্লাহ্র বাণী বহন করিয়া আনিয়া আল্লাহ্র মনোনীত বান্দার কাছে পৌঁছাইয়া দেওয়া (দানিয়েল- ৮ঃ১৬; ৯ঃ২১; লুক- ১ঃ১৯)। এই আয়াত হইতে দেখা যায়, জিব্রাঈলের এই একই কর্তব্য কুরআনও স্বীকার করে। কিন্ত ইহুদীদের পরবর্তীকালীন কোন কোন লিখার মধ্যে জিব্রাঈলকে অগ্নি ও বজ্রের ফিরিশ্তা বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে (এনসাইক্লো বিব্-গেব্রিল)। রসূলে করীম (সাঃ)-এর সময়ে ইহুদীরা জিব্রাঈলকে তাহাদের শত্রু মনে করিত এবং যুদ্ধ-বিগ্রহ, বিপদাপদ ও দুঃখ-যন্ত্রণার ফিরিশ্তা বলিয়া মনে করিত (জরীর, মসনদ)।