মক্কার পতনের সাথে এবং হুনায়নের যুদ্ধে হাওয়াযিনদের পরাজয়ে ইসলামের শাসন এবং কর্তৃত্ব সমগ্র হেজাযের উপর পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। কোন কোন উপজাতি মুসলমানগণের সহিত সন্ধি স্থাপন করিয়াছিল এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করিয়াছিল। এই সন্ধি অবশ্য পালনীয় ছিল। কিন্তু অন্যান্য উপজাতিও ছিল, যাহারা আনুষ্ঠানিকভাবে বা প্রচলিত প্রথানুযায়ী আত্মসমর্পণ করে নাই, তাহারা তাহাদের অস্ত্র পরিহার করে নাই এবং মুসলমানদিগের সহিত এরূপ সন্ধি-চুক্তিও করে নাই যে, তাহারা শান্তি রক্ষা ও আইন শৃংখলা মানিয়া চলার নিশ্চয়তা বিধান করিবে। তাহারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিরোধিতা শুরু করিয়াছিল, এবং যদিও কার্যতঃ তাহারা পরাভূত হইয়াছিল, তথাপি তাহারা না পরাজয় স্বীকার করিয়াছিল, না তাহারা মুসলমানদের সঙ্গে বসবাস করিতে রাজি ছিল। এই সকল উপজাতির বিরুদ্ধে অভিযান চার মাসের জন্য স্থগিত রাখা হইয়াছিল। উহাদিগকে দেশের সর্বত্র স্বাধীন ভাবে চলিতে দেওয়া হইয়াছিল যাহাতে তাহারা ভালভাবে বুঝিতে পারে যে, মুসলমানদিগকে আর বাধা দিলে ব্যর্থ হইতে হইবে, তখন তাহারা আত্মসমর্পণ করিবে এবং সন্ধি স্থাপন করিবে। এই সকল গোত্রের প্রতি এই আয়াত ইশারা করিতেছে।