ইহুদীদের দুষ্কর্মের কিছু বিবরণ দিবার পর, কুরআন তাহাদের ঔদ্ধত্য ও পাষণ্ডতার মূল কারণ ব্যাখ্যা করিতেছে। কুরআন বলিতেছে, ইহুদীদের এই গর্হিত কাজের জন্য তাহাদের এই ভুল ধারণাই দায়ী যে, তাহারা শাস্তি হইতে মুক্ত (জিও, এন সাইক্লোপিডিয়াতে গেহেন্না’ দেখুন)। অথবা তাহাদিগকে অগত্যা যদি শাস্তি দেওয়াই হয়, তাহা হইলেও সেই শাস্তি হইবে খুব লঘু এবং স্বল্প স্থায়ী। মহানবী (সাঃ)-এর সময়ে, ইহুদীদের একাংশ মনে করিত যে, তাহাদের শাস্তি কখনও চল্লিশ দিনের অতিরিক্ত সময়ের জন্য হইবে না। অন্যেরা বলিত, তাহাদিগকে সাত দিনের বেশী সময় ব্যাপী শাস্তি দেওয়া হইবে না (জরীর, ২ঃ৮১ এর ব্যাখ্যা)। “বর্তমান ইহুদীদের মধ্যে ইহাই প্রচলিত বিশ্বাস যে, (তাহাদের) কোনও ব্যক্তি এগারো মাসের বা সর্বাধিক এক বৎসরের বেশী দোযখে থাকিবে না, তাহারা যতই দুষ্ট প্রকৃতির হউক না কেন। তবে দাছান, এবিরাম এবং নাস্তিকেরা (ইহুদীদের মধ্যে হওয়া সত্ত্বেও) চিরকাল নরক-যন্ত্রণা ভোগ করিবে” (সেইল)।