১১২২

এই আয়াত মালে-গনিমত বন্টন সম্পর্কে বর্ণনা করিয়াছে (৮ঃ২ দ্রষ্টব্য),উহার এক-পঞ্চমাংশ উম্মতের ইমাম বা খলীফার জন্য নির্দিষ্ট থাকিবে। তিনি যেমন প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপে উল্লেখিত পাঁচ শ্রেণীর মধ্যে বন্টন করিবেন। নবী করীম (সাঃ)-এর অংশ দরিদ্র মুসলমানগণের উপকারার্থে ব্যয়িত হইত, তিনি স্বয়ং একান্ত অনাড়ম্বর ও সাধারণ জীবন যাপন করিতেন। ইমাম মালিক (রহঃ)-এর মতে সমবন্টন অপরিহার্য নহে, বন্টনের কাজ ইমামের হাতে ছাড়িয়া দেওয়া প্রয়োজন, তিনি সময় ও অবস্থাভেদে প্রয়োজনানুযায়ী ভাগ করিয়া দিবেন। হযরত নবী করীম (সাঃ) এবং তাঁহার চার খলীফা রাশেদীনের যমানায়ও এইরূপ পদ্ধতি বা নিয়মই প্রচলিত ছিল। অবশিষ্ট চার-পঞ্চমাংশ সৈনিক দিগের মধ্যে বিতরণ করিয়া দেওয়া হইত, তাহারা বেতনভুক্ত ছিল না, এমনকি সাধারণতঃ তাহারা নিজেরাই যুদ্ধের খরচ বহন করিত। ইহা ছিল সেই সময়ে বিরাজমান অবস্থা মোকাবিলার জন্য গৃহীত জরুরী ব্যবস্থা, কারণ তখন কোন নিয়মিত বেতনধারী সেনাবাহিনী ছিল না এবং কোন নিয়মিত রাষ্ট্রীয় কোষাগারও ছিল না। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলিতে হাশিম এবং আবদুল মুত্তালিবের সকল বংশধরকে বুঝায়, যাহারা যাকাত হইতে উপকৃত হইতে পারিত না।