কোন কোন তফসীরকারকের ভ্রান্তধারণা এই যে, এই আয়াতে মুসলমানদিগকে বুঝানো হইয়াছে। কিন্তু ইহা সঠিক নহে, এই আয়াত অবিশ্বাসীদিগের প্রতি ইংগিত করিতেছে। ইতিহাসে আদৌ এমন কোন প্রমাণ নাই যে, নবী করীম (সাঃ)-এর সাহাবীগণ শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করার ব্যাপার নিয়া তাহার সহিত কোন প্রকার বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি করিয়াছিলেন। পক্ষান্তরে এইরূপ বর্ণিত আছে যে, বদরের যুদ্ধের পূর্বে আঁ-হযরত (সাঃ) যখন তাহাদের নিকট পরামর্শ চাহিলেন তখন তাহারা সকলে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলিয়া জানাইয়াছিলেন এবং এমনকি তিনি যেখানেই নিয়া যাইবেন সেখানেই তাহারা তাঁহার (সাঃ) সাথে যাইতে এবং যুদ্ধ করিতে আগ্রহ প্রকাশ করিয়াছিলেন (হিশাম)। এমনকি কাফেররাও, যাহারা মুসলমানদিগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে আসিয়াছিল স্বীকার করিয়াছিল যে, যুদ্ধ-ক্ষেত্রে মুসলামনগণকে মৃত্যুর অন্বেষণকারী বলিয়া মনে হইতেছিল (তাবারী)। এই আয়াতের তাৎপর্য ইহাই যে, ইসলামের শত্রুরা সত্যকে ঘৃণাসহকারে প্রত্যাখান করিয়াছিল যেরূপে কেহ মৃত্যুকে বিতৃষ্ণাসহকারে পরিহার করে, অতএব, ইহার দরুন মৃত্যু দ্বারাই উহাদিগকে শাস্তি দেওয়া হইয়াছিল।